July 1, 2025, 8:49 am
আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নে ভালনারেবল উইমেন বেনেফিট (ভিডব্লিউবি) কার্যক্রমের আওতায় ১ জুলাই /২০২৫ হতে ৩০ জুন/২০২৭ চক্রের (ভিডব্লিউবি) উপকারভোগী নির্বাচন, খাদ্য ও কার্ড বিতরণে প্রকৃত উপকারভোগী চূড়ান্ত করতে লটারির মাধ্যমে এক উন্মুক্ত যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার (২৯জুন) সকাল ১১ থেকে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ময়মনসিংহ সদরের সার্বিক তত্বাবধানে ও ভাবখালী ইউনিয়ন পরিষদের বাস্তবায়নে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম প্রিন্স।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স জানান- উপযুক্ত ও প্রকৃত হতদরিদ্র উপকারভোগী বাছাইয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করণে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে লটারির মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে লটারি হওয়ার পরও ৩দিন সময় নির্ধারণ করা হবে এর মাঝে লটারিতে প্রাপ্ত উপকারভোগীদের মাঝে কেউ যদি এর আওতায় না পড়ে তাহলে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনার আলোকে লটারিতে নির্বাচিতদের মধ্য থেকে যাচাইয়ান্তে বা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে যদি প্রমান হয় তিনি কার্ড পাওয়ার যোগ্য নন তাহলে তাকে বাদ দিয়ে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভাতাভোগী নির্বাচন করার নির্দেশনা রয়েছে। অতএব, লটারিতে নির্বাচিত হলেও যদি যাচাই-বাছাইয়ে যোগ্য না হয় তাহলে তাকে এই সুবিধা দেয়া হবে না। এভাবে প্রকৃত ও উপযুক্ত উপকারভোগীদেরদ মাঝে স্বচ্ছতার সহিত বিডব্লিউবি উপকারভোগী নির্বাচন করা হবে। এসময় তিনি উক্ত উন্মুক্ত বাছাই কার্যক্রম বাস্তবায়নে ইতিবাচক সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয় রাজনৈতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ,সচেতন নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম কর্মীসহ সবাইকে উপজেলা প্রশাসন,ময়মনসিংহ সদর এর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান। প্রকৃত উপকার ভোগী বাছাইয়ে সকলকে সহযোগিতা করারও আহবান জানান।
এসময় ভাবখালী ইউনিয়নের উপকার ভোগী বাছাইয়ে উপজেলা প্রশাসনের নিয়োজিত টিম সম্বন্বয়কারী উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ইন্সট্রাক্টর হায়দার জাহান,উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার আলাউদ্দিনসহ
স্থানীয় ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বাছাই কমিটির সদস্যগণ ও রাজনৈতিক সামাজিক ও বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসমা উল হুসনা ফাতেমা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড থেকে ১৫ শতাদিক আবেদন জমা পড়ে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটার সংখ্যা অনুপাতে প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট সংখ্যক উপকারভোগী লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। তিনি আরও বলেন, “এই প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়মের সুযোগ রাখা হয়নি। সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গতভাবে লটারির মাধ্যমে উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে।”
উন্মুক্ত এই লটারিভিত্তিক বাছাই প্রক্রিয়ায় এলাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখায় তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।